প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত । বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিতে সাজ সাজ রব শুরু হয়ে যায়। শীতের মধ্যে অনেকসময় ঘর থেকে বের ইচ্ছে হয় না। বসন্ত এলেই সবাই তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। দিন হয় দীর্ঘ ,বাইরের কাজকর্ম বেড়ে যায়।
তবে বসন্ত যে শুধু আনন্দই বয়ে আনে তা নয়। এই সময় বিভিন্ন ধরনের রোগবালাইও বেড়ে যায়।
বসন্তে গাছপালা পাতায় পাতায়, ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। ফুলের রেণু বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এটা ফ্রেবুয়ারির প্রথম থেকেই শুরু হয়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের এই সময় সাবধান থাকা উচিত।
মৌসুমি অ্যালার্জির মতো বসন্তকালে হাঁপানি রোগীদেরও সমস্যায় পড়তে হয়।পরাগরেণু, বাতাসের পরিবর্তন, কীটপতঙ্গের আনাগোনা হাঁপানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এই সময় বাইরে অনেক ধূলা বালিও ওড়ে । এই সবই হাঁপানি রোগীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তাদের এই সময় বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
বসন্তকালে নানা ধরনের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে তা ছড়িয়ে যায়। একারণে এই সময় বাইরে থেকে এসে সবসময় ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করা উচিত। সেই সঙ্গে বাইরে থেকে ফিরে হাত না ধুয়ে চোখ, নাক এবং মুখে হাত দেওয়া উচিত নয়।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে জ্বর, জলবসন্ত এগুলো হতে পারে। জলবসন্ত প্রতিরোধে আগে থেকেই টিকা নিতে পারেন। এছাড়া বসন্তে সুস্থ থাকতে বেশি পরিমানে প্রোটিন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এবং টাটকা শাকসবজি খেতে পারেন।
সূত্র: হেলথগ্রেড