আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু অভ্যাস বা মুদ্রাদোষ থাকে; যা আমরা সাধারণত গোপন রাখতেই ভালোবাসি। তারকাদেরও এমন কিছু অভ্যাস বা মুদ্রাদোষ রয়েছে, যা তারা চাইলেও লুকাতে পারেন না।
তার আশি ভোল্টের হাসি মাত করে রাখতো পুরো বলিউডকে। ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ থেকে ‘ভীর যারা’র মতো অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। এত নিষ্পাপ হাসির অধিকারিণীরও নাকি বদ অভ্যাস থাকে পারে! শোনা যায় যে, মা হওয়ার আগেও বলিউড সুন্দরী রানী মুখার্জীর সকাল শুরু হতো সিগারেটের ধোঁয়ায়।
বলিউডের কিং অব রোমান্স যেমন সিদ্ধহস্ত অভিনয়ে, ঠিক তেমনিই অন্য সবার থেকে এগিয়ে রয়েছেন বদ অভ্যাসের দিক থেকেও। দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা ঘুমান শাহরুখ খান। অভিনেতা রণবীর কাপুরের বাজে অভ্যাস, একটু পর পর নাকে হাত দেয়া। যা নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ করেন তার সহশিল্পীরাও।
হাজারো পুরুষের হৃদয়ের রানী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার মূদ্রাদোষ আবার একটু ব্যতিক্রম। অতিরিক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তিনি। যাকে এক কথায় বলে ‘শুচিবায়ুগ্রস্ত’। একই অভ্যাস সানি লিওনিরও রয়েছে। ঘরে থাকুন কিংবা শুটিং সেটে- একটু পর পর নিজের পা ধুঁতেই হবে তাকে।
‘মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট’ আমির খানেরও যে কোনো বদ অভ্যাস থাকতে পারে তা যেনো অনেকটাই অকল্পনীয়। দিনের পর দিন গোসল না করার বদঅভ্যাস আছে তার। এদিকে বলিউডের হার্টথ্রব জন আব্রাহামের রয়েছে পা নাচানোর বদ অভ্যাস। যেকোনো জায়গায় মনের অজান্তেই তার পায়ের নাচ চলতে থাকে, হোক সেটা বাড়ির বেডরুম বা কোনো অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম।
গ্ল্যামার গার্ল কারিনা কাপুরের নাকি পাঁচ বছর বয়স থেকেই নখ কামড়ানোর অভ্যাস। কোনোকিছু করেই এ বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি পাননি তিনি। আর তাই হাতে ব্যবহার করেন নকল নখ।
অন্যদিকে, আরেক কাপুর কন্যা সোনমের বাজে অভ্যাস- পোশাকের ব্যাপারে অতিরিক্ত সচেতনতা। ডিজাইনারের পোশাক ছাড়া অন্য কোনো পোশাকই নাকি গায়ে তোলেন না সোনম।
এ তালিকায় আছেন বলিউডের ভাইজানও। আজকের যুগে যখন সবাই দামি ব্যাগ, গাড়ি কিংবা বাইক কালেকশনে ব্যস্ত, সালমান খান সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্র্যান্ডেড সাবান সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন। নবাগত অভিনেতা হর্ষবর্ধন কাপুরের স্নিকার কালেকশন এতোই বেড়ে গেছে যে, তার বাড়িতে নাকি আর জায়গা হচ্ছে না স্নিকার রাখার।
তারকা মানেই যেনো নিখুঁত। থাকবে না কোনো ত্রুটি, এমনটাই ধারণা আমাদের। কিন্তু তারাও রক্তে মাংসে গড়া মানুষ এবং ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নন। নিজেদের স্থান তারা অটুট রেখেছেন সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে। তাইতো বলা যায়, যত ভুলই করুক না কেন, ভক্তদের মাঝে প্রিয় তারকার ভালোবাসার ও শ্রদ্ধার জায়গা কমবে না এতোটুকুও।