বন্ধ হচ্ছে গুগল প্লে মিউজিক অ্যাপ আগামী সেপ্টেম্বরে। মিউজিক কনটেন্টের ব্যাকআপ রাখার জন্য ব্যবহারকারীরা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন। আর এর বিকল্প হিসেবে সেবা দেবে ইউটিউব মিউজিক অ্যাপ।
নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় আগামী সেপ্টেম্বরে গুগল প্লে মিউজিক বন্ধ হলেও বাকি বিশ্বের ব্যবহারকারীরা সময় পাবেন অক্টোবর পর্যন্ত। ব্যাকআপের জন্য ইউটিউব মিউজিক অ্যাপে গানের ফাইল ট্রান্সফার করতে হবে।
ডিসেম্বরের মধ্যে গুগল প্লে মিউজিকের সমস্ত সমর্থন শেষ হয়ে যাবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, গুগল তাদের ইউটিউব মিউজিক সেবাকে পুরোপুরি চালু করেছে। এটি এখন গুগল প্লে মিউজিকের বদলে ব্যবহার করা যাবে। কয়েক মাস আগে থেকেই গুগল প্লে মিউজিক ব্যবহারকারীদের নতুন সেবায় স্থানান্তর করতে শুরু করেছে।
গুগল ইউটিউব মিউজিকে নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে যেমন সহায়ক প্লেলিস্ট তৈরি, সহযোগী প্লেলিস্টগুলি, নতুন এক্সপ্লোর ট্যাব, অ্যান্ড্রয়েডে প্লেয়ার পৃষ্ঠাকে নতুন করে ডিজাইন করা এবং আরও অনেক কিছু।
গুগল প্লে মিউজিক বন্ধ করার আগে গুগল বেশ কয়েকবার অ্যাপটির ব্যবহারকারীদের জন্য নোটিশ পাঠাবে। যাতে সবাই ইউটিউব মিউজিকে ফাইল ট্রান্সফারের সুযোগ পায়। তবে সব গানের ফাইল ট্রান্সফার করা যাবে না। কিছু গানের স্বত্ব ইউটিউব মিউজিকের কেনা নেই। ফলে স্বত্ববিহীন গানগুলো ইউটিউবে শোনা যাবে না।
ফাইল ট্রান্সফারের জন্য গুগল একটি ফিচার পাঠাবে। ফিচার পাঠানো হয়েছে কিনা তা ইমেইল ও অ্যাপে পপ আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গুগল জানিয়ে দেবে।
অ্যাপটি চালু হয়েছিলো ২০১১ সালের নভেম্বরে। ৮ বছরেও প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ অ্যাপল মিউজিক ও স্পটিফাইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি গুগল প্লে মিউজিক।