তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে উপজেলার বর্ণি ইউপি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জোবায়ের হোসেনও রয়েছেন।
জোবায়ের হোসেন বর্ণি ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে ভোট পড়েছে ৯ হাজার ৯২৪টি। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত মো. জোবায়ের হোসেন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২১১। যা মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম। জামানত ফেরত পেতে তার ১ হাজার ২৪০ ভোটের প্রয়োজন ছিল। গত ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১০ টি ইউপিতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বদ্বীতা করেন। নির্বাচনে দশটি ইউপির পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে স্বতন্ত্র (বিএনপির একজন) প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
জামানত হারানো অন্য প্রার্থীরা হলেন- দাসেরবাজার ইউপি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কয়েছ আহমদ ও বিমান কান্তি দাসের জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ছিল ১২১৫। কয়েছ আহমদ ৬৪ ভোট ও বিমান কান্তি দাস পেয়েছেন ৯৬ ভোট।
নিজ বাহাদুরপুর ইউপি’তে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু সাহেদ জামানত রক্ষায় ১৪৩৫ ভোটের স্থলে পেয়েছেন ৩৭ ভোট।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুমিনুর রহমান টনি জামানত রক্ষায় ১৬১৮ ভোটের স্থলে পেয়েছেন ৫৫৫ ভোট। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির উদ্দিন জামানত রক্ষায় ১৭১৫ ভোটের স্থলে পেয়েছেন ৭৪ ভোট।
দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপিতে জামানত হারিয়েছেন ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। জামানত ধরে রাখতে তাদের প্রয়োজন ছিল ১১১৩ ভোট। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মানিক (৮৪ ভোট), আব্দুল মালিক (৩১ ভোট), মোসাহিদ আহমদ (২৪ ভোট), আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ হোসেন (৪৯৪ ভোট), বিএনপি-স্বতন্ত্র মোহাম্মদ ময়নুল হক (৮৮২ ভোট), জামায়াত স্বতন্ত্র মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান (৬৪১ ভোট) ও আ’লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল ফুলু (৩৬ ভোট)।
সুজানগর ইউপি’তে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম জামানত রক্ষায় ১৩৮২ ভোটের স্থলে পেয়েছেন ১২২০ ভোট, অপর প্রার্থী ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৪০ ভোট।
দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপি’তে ৩ জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- বেলাল খান ওলন (৭০ ভোট), শরফ উদ্দিন (৪৩ ভোট) ও সায়দুর রহমান (১৫০ ভোট)। এই ইউপি’তে জামানত রক্ষায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ২১৩৬ ভোট।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমান বুধবার সন্ধ্যায় জানান, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ওই প্রার্থীরা প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটও পাননি। এ কারণে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে জানান।