বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকায় মাছ ধরার জন্য বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব রাখেন প্রধানমন্ত্রী।সোমবার ইতালির রোমে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে ‘ফুড সিস্টেমস সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্ট’ শীর্ষক আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অপচয় হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা প্রস্তাবে বলেন: এই অপচয় রোধে তরুণদের সম্পৃক্ত করে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বব্যাপী টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের ‘ফুড সিস্টেম’ সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা প্রথম প্রস্তাবে আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
জাতিসংঘ মহাসচিবের নেওয়া উদ্যোগ কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি চালু রাখার আহ্বান জানিয়ে দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন: যে কোনো ধরনের বাণিজ্য বাধা বিশেষ করে খাদ্য ও সার রপ্তানির উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে।
চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় যেসব উদ্ভাবন হয়েছে, সেই ন্যানো-টেকনোলজি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স এবং উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সবার জন্য সহজলভ্য করতে হবে।
জলবায়ু সংকটে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আর বিলম্ব না করে কী করা দরকার, তা আমাদের চিহ্নিত করতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, দীর্ঘস্থায়ী খরা, ব্যাপক বন্যা ও পরিবর্তনশীল বৃষ্টিপাতের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আমাদের উপকূলীয় ভূমিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং লবণাক্ততা অনুপ্রবেশের ফলে ধান উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। নদীভাঙন, নগরায়ন, শিল্প প্রবৃদ্ধি এবং অন্যান্য কারণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর আবাদি জমি হ্রাস পাচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল, সামোয়া ফিয়ামের প্রধানমন্ত্রী নাওমি মাতাফা এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বক্তৃতা করেন।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন