ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নিউ ইয়র্কে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু বইমেলা ২০১৯। জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ এ তিন দিনের এই মেলা শুরু হয় শুক্রবার সন্ধ্যায়। তবে তার আগে ডাইভারসিটি প্লাজায় একটি উদ্বোধনী সমাবেশ হয়। সেখানে বেলুন উড়িয়ে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক। এসময় রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ প্রবাসীদের একটি মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো এলাকা।বঙ্গবন্ধু বইমেলার উদ্বোধন করে লেখক আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষকে সামনে রেখে নিউ ইয়র্কের এই বইমেলা অসাধারণ একটি উদ্যোগ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজে একজন সুলেখক ছিলেন। তার কারাগারের রোজনামচা এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লেই আমরা সেটা বুঝতে পারি। বঙ্গবন্ধু লেখকদের খুব ভালোবাসতেন উল্লেখ করে আনিসুল হক আরও বলেন, তিনি ছিলেন সবার মানুষ। তাই সবার অংশগ্রহণে এই মেলাকে সফল করতে হবে।মুজিব বর্ষ উদযাপন পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা বিরোধিতা করেছিল। আজ সেই মাটিতেই জাতির পিতা স্মরণে বইমেলা হচ্ছে। এটিকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়োজনের উপদেষ্টা বেলাল বেগ, সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ, ডা. ফেরদৌস খন্দকার, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদসহ অনেকে। বঙ্গবন্ধু বইমেলার শিবলি সাদেক শিবলুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন আহবায়ক আবু রায়হান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মুজিব বর্ষ উদযাপন পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক মিশুক সেলিম এবং সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবু। শামীম আল আমিনসহ নিউ ইয়র্ক প্রবাসী অনেক লেখক এসময় বক্তব্য রাখেন।পরে ডাইভারসিটি প্লাজা থেকে একটি শোভাযাত্রা পিএস ৬৯ স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। শ্রদ্ধা জানানো হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার প্রতি। আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। মেলা উপলক্ষ্যে পুরো স্কুল প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। বিভিন্ন স্টলে বই সাজিয়ে বসেন প্রকাশকরা। বইপ্রেমীরাও ছুটে আসেন মেলায়। শনি ও রোববার সকাল ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে মেলা। মেলায় বই বিক্রি ও প্রদর্শনী ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও তার আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরার জন্যে রয়েছে তথ্যচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন। সুত্র : আর টি ভি