জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসহ দেশের সকল ভাস্কর্য রক্ষায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী উত্তম লাহিড়ী।
আজ রোববার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ করা হয়। একইদিনে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
এদিকে হাটহাজারীতে এক মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দিয়ে বলেন, যেকোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে, সেটা যদি আমার বাপের ভাস্কর্যও হয়।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন মামুনুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
অপরদিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে শুক্রবার রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই কাজে দুইজন অংশ নেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ১৬ মিনিটের দিকে দাঁড়িওয়ালা, টুপি ও পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত দুজনের মধ্যে একজনের পিঠে ব্যাগ ঝোলানো রয়েছে। দুজন বাঁশ বেয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে উঠে এলোপাতাড়ি হাতে থাকা লাঠি অথবা লোহার দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভাস্কর্যটি ভেঙে তারা নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন। সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানান তারা।