বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর একুশে পদকপ্রাপ্ত সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নাম যেভাবে দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না ঠিক এমনি করে বৃহত্তর সিলেটের প্রয়াত রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর একুশে পদকপ্রাপ্ত সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বারের নামও সিলেটের ইতিহাস থেকে কোন দিন মুছবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মহান মুক্তিযোদ্ধ থেকে শুরু করে ১৯৭৫ পরবর্তী সংকটে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে অবিচল থেকে আজীবন তৃণমুল পর্যায়ে রাজনীতি করা এক ক্ষণজন্মা নেতা হচ্ছেন মরহুম আব্দুল জব্বার। ওনাদের মতো ত্যাগী নেতাদের আদর্শ আমাদের লালন করতে হবে।
আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য একুশে পদকপ্রাপ্ত কুলাউড়ার সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃতুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ২৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় কুলাউড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ ও মরহুম আব্দুল জব্বারের পুুত্র মো. আবু জাফর রাজুর সভাপতিত্বে এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক আ.স.ম কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, শফিউল আলম শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক মমদুদ হোসেন, বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান ফজলুল হক ফজলু, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক মঈনুল ইসলাম সবুজ, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক আতিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এনামুল হক মিফতা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে আরো বলেন, ‘৭ অক্টোবর হযরত শাহাজালাল আর্ন্তাজাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বর্তমানে দেশের একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ১৫ বছর যাবত ধারবাহিক সুশাসনের ফলে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’ তিনি আরো বলেন, কমলগঞ্জের শমসেরনগর বিমানবন্দরসহ বন্ধ থাকা দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আব্দুল জব্বারসহ ১৫ই আগষ্ট নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যসহ দেশের মহান মুক্তিযোদ্ধের নিহত সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি