বঙ্গবন্ধুর খূনী আব্দুল মাজেদ কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এ আলি আহামেদ ওরফে ইংরেজির মাস্টার মশাই
হিসেবে পরিচিত ছিল। কলকাতার দৈনিক ‘বর্তমান’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে খুনি মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে তার ছবি দেখে রীতিমত অবাক পার্ক স্ট্রিট এর বেডফোর্ড লেনের বাসিন্দারা।এলাকার লোক জানত মাস্টার মশাই সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে পাশ করেছেন। শুরুতে তালতলার ভাড়া বাড়ীতে একা থাকলেও পরে পার্ক স্ট্রিটে চলে আসে।২০১১ সালে তার থেকে ৩২ বছরের ছোট উলুবেড়িয়ার সেলিনা বেগম নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারী হাসপাতাল থেকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে বের হয়ে আর বাড়ী ফেরেনি সে।তার স্ত্রী কোথাও তার খোঁজ খবর না পেয়ে পার্ক স্ট্রিট থানায় মিসিং ডায়রী করেন ।পুলিশ তদন্ত শুরু করে, হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও মাজেদের হদিস পাওয়া যায়নি। তার ভাড়া বাসা তল্লাশী করে একটি ব্যাগ পায় পুলিশ।ব্যাগের ভিতর সিমকার্ড,আধার কার্ড, ভোটার আইডি, ভারতীয় পাসপোর্ট এবং এক মহিলা সহ তিন জন শিশুর ছবি খুঁজে পায়।তার স্ত্রী সেলিনা পুলিশকে জানায় ব্যাগের মত তার ব্যক্তিগত জিনিসও অন্য কাওকে হাত দিতে দিত না সে ।মহল্লায় খুব একটা মেলামেশা করত না সে ।টিউশনির পাশা পাশি এলাকার এক চা দোকান, রেশন দোকান ও বিল্ডার্সের দোকানে আড্ডা দিত মাজেদ।বাড়ীর সদর দরজা সব সময় তালাবদ্ধ থাকতো ।বাহিরের কাউকে ঢুকতে দিত না।এভাবে আঠারো উনিশ বছর কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল মাজেদ ।