শেখ মুজিবুর রহমানকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতির পিতা মনে করে না বলে জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে নষ্ট করে ফেলেছে। শেখ মুজিবুর রহমানকেও তো আওয়ামী লীগই নষ্ট করে ফেলেছে। যেভাবে তার মূর্তি করে তার পূজা বাংলাদেশে শুরু করেছে, এটা একটা ফ্যাসিস্ট আইডিওলজির অংশ হয়ে গেছে। একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে সরকার, যে নতুন বাংলাদেশ সেখানে তো আমরা এই ফ্যাসিস্ট প্রবণতাগুলো রাখতে পারি না।’
৭ মার্চকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো ৭ মার্চকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিচ্ছি না। আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিচ্ছি না। যেটা আওয়ামী লীগ করেছিল, সেটা নির্মোহভাবে ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। দিবস হিসেবে পালনের চর্চা, এটার একটা রাজনীতি আছে। গণঅভ্যুত্থানের সরকারে সেই রাজনীতিটা চলতে দিতে পারি না। এটা ধারাবাহিকভাবে নতুন বাংলাদেশে থাকবে না।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ দিবস, কিন্তু জাতীয় দিবস হওয়ার মতো গুরুত্ব রাখে না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে। আমরা শুধু ফ্যাসিস্ট পন্থায় আওয়ামী লীগের চাপিয়ে দেওয়া জাতীয় দিবসগুলোকে বাদ দিচ্ছি।’
শেখ মুজিবুর রহমানকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতির পিতা হিসেবে মনে করে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না’।
তাহলে আমাদের কোনো জাতির পিতা থাকবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু কেবল ৫২-তেই শুরু হয়নি। আমাদের ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, ৪৭ ও ৭১-এর লড়াই আছে, ৯০ ও ২৪ আছে। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছেন। তাদের লড়াইয়ের ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’
পরবর্তীতে অন্য কোনো দিবস পালন করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো দিবস বাতিলের প্রয়োজন মনে হলে করা হবে এবং জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে। তবে এগুলো জনগণই ঠিক করবে কোনটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা উচিত।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম