সাবিক ওমর সবুজ, বগুড়া প্রতিনিধিঃ আজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। প্রতিবছর ২২ অক্টোবর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় “আইন মেনে সড়কে চলি নিরাপদে ঘরে ফিরি” এই শ্লোগানে বগুড়ার শাজাহানপুরে নিরাপদ সড়ক চাই ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় সমাবেশ র্যালি, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রোগ্রামের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিসচা ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ, নিসচার উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুরুজ্জামান, প্রেস-ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সাজেদুর রহমান সবুজ, উপজেলা যুবলীগ নেতা বাদশা আলমগীর, নিসচা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ও কালের কন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জিয়াউর রহমান জিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য-আব্দুল বাছেদ রঞ্জু, দুর্ঘটনা অনুসন্ধান ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান তোফা, দপ্তর সম্পাদক মইনুল ইসলাম পলাশ, প্রচার সম্পাদক বাবলু মন্ডল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা তানিয়া আক্তার আইরিন, যুব বিষয়ক সম্পাদক জাফর আলী, কার্যকরী সদস্য সাইফুল ইসলাম, আব্দুল করিম, আমিনুর সরকার, আফজাল হোসেন প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ থেকে ২০১২ সাল ১৪ বছরে সরকারি হিসাবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৪২ হাজার ৫২৬ জনের। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরো বেশি। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে গাড়ির অতিরিক্ত গতি।মোটরযান আইনে গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলেও অধিকাংশ চালকই এ নিয়ম মানেন না। এজন্য চালকদেরকে বোঝাতে হবে,তাদেরকে সচেতন করতে হবে। আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে,গাড়ির ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহম্মেদ বলেন,”নিরাপদ সড়ক চাই”এটা গন আন্দোলনে পরিনত হয়েছে।একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।নিরাপদ সড়র চাই এটা শুধু আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না,সবচেয়ে বেশি জরুরি জনসচেতনতা। বিশ্বের কোন জায়গাতেই অপরাধ দমন পুলিশ বা ফোর্স প্রয়োগ করে হয়নি,অপরাধ দমন তখনি হয়েছে যখন ঔ জায়গার মানুষ বা জনগন সচেতন হয়েছে। জাতীয়ভাবে সচেতনের মধ্যেমে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব।