বগুড়ার শেরপুরে সরকারি ১নং খতিয়ানের খাস জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করায় শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের সুত্রধরে বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোরদৌর মৌজার পলিপলাশ গ্রামে পুকুর খননের কাজ চলছে।
অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারকান্দি ঘোড়দৌড় মৌজার সরকারি ১নং খতিয়ানের খাস জমি জেএল নং ১৩২, দাগ নং ৩২১,৩২২ জমিটি একটি ডোবা যা দিগদিরা-সগুনা খালের সাথে সংযুক্ত। ডোবাটির মধ্য দিয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৩০০ বিঘা কৃষি জমির পানি দিগদিরা-সগুনার খাল দিয়ে পানি বাঙ্গালী নদীতে নেমে যায়। এই ডোবাটি শাজাহানপুর উপজেলার নগর এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী ও আব্দুল মোমিন ১৯৭৫ সালের পত্তনী নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন। পরে ওই এলাকার নজরুল ও গোলাপী আবার পত্তনী নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে জমি ওই এলাকার বাবলু মিয়ার কাছে বিক্রিয় করে।
গত ১০ নভেম্বর ২০২৩ বাবলুর ছেলে মাহফুজার রহমান, নুরুজ্জামান, মোস্তাফিজার, মিশু, শিশু ডোবাতে শ্যালো মিশিন নামিয়ে সেচ করে বিভিন্ন প্রজাতি মাছ ধরে। গত কয়েক দিন ধরে সেই ডোবা থেকে মাটি তুলে পুকুর খনন করে পাড় বাধে। এতে করে দিগদিরা-সগুনা খালের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। আগামী বর্ষা মৌসুমে ৩০০ বিঘা কৃষি জমি পানিতে ডুবে থাকার শঙ্কায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজার রহমান, নুরুজ্জামান জানান, আমরা ৩২১ নং দাগের জমিটি ক্রয় করেছি। ডোবা থাকায় পার বেধে মাছ চাষের উপযুক্ত করেছি। তবে ৩২২ দাগের সামন্য মাটি তুলে পাড়ের উপর দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমিশনার ভূমি রেজাউল করিম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৩৯ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি