বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় ভটভটির (নসিমন) যাত্রী একটি বেসরকারি কোম্পানির বিপণন ব্যবস্থাপকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন যাত্রী।
নিহতরা হলেন আল আমিন (৩২) ও গোপাল সরকার (২৮)। তারা দুজনই ভটভটি চালক। এঘটনায় নাজমুল (২৪) ও নাঈম (২৭) নামের আরও দুইজন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁদেরকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা বটতলা নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
✪ আরও পড়ুন: মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রীও
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাদের হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রংপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের ঘোগা বটতলা নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ভটভটিকে (নসিমন) চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভটভটির যাত্রী প্রাণ কোম্পানির বিপণন ব্যবস্থাপক শেরপুর শহরের কর্মকারপাড়ার বাসিন্দা গোপাল সরকার (৩২) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের দুইজন ব্যক্তি নিহত হন। সেইসঙ্গে আহত হন আরও পাঁচজন ব্যক্তি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটায় তাৎক্ষণিক বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন সরকার জানান, শ্যামলী পরিবনের বাসটি (ঢাকা মেঃ বঃ ১৪-৪৮৪৭) আটক করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পালিয়ে যায় তাদেরকে আটক করা যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।