গত রবিবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদরের জয়পুরপাড়া এলাকার ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’ নামের চারতলা বাড়িতে গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার রাতে কাহালু উপজেলার আড়োবাড়ি গ্রাম থেকে ঘটনায় তাঁর ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজার কে মা হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তবে পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে সাদ কে রিমান্ডে নেয়ার পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সে জানায়, র্যাব তার থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়। সে তার মাকে খুন করে নি।
পরবর্তীতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গৃহবধূ সালামার বাড়ির চারতলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ জানায়, গৃহবধূ উম্মে সালমার ছেলে সাদ হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত নয়। এ ঘটনায় জড়িত তাদের বাড়ির চারতলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া। সে ফ্ল্যাট টি ভাড়া নিয়ে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলো। গৃহবধূ উম্মে সালমা বিষয়টি জানতে পারায় আসামি মাবিয়া তার দুই সহযোগী মুসলিম ও সুমন চন্দ্র কে সাথে নিয়ে সালমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
আসামি মাবিয়া কে নিয়ে পুলিশ আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেই সাথে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালুতে বাজার থেকে অপর আসামি সুমন চন্দ্র কে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, নিহত উম্মে সালমা দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী এবং তার ছোট ছেলে সাদ ওই মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ১০ নভেম্বর দুপুরে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হোন। আসামিরা তাকে শ্বাসরোধ পূর্বক মারা যাওয়া নিশ্চিত করার পর তার হাত পা বেঁধে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে। ঘটনাটি সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আজ ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:৩২ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি