বগুড়ার শাজাহানপুরে দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী টেংগামাগুর শীতলা বুড়িমাতা পুজা ও মেলা জমজমাট ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বারো সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় বুড়িমাতা’র পুজা। প্রায় দেড়শ’ বছর যাবত প্রতি বৈশাখ মাসের শেষ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বুড়িমাতা’র পুজা ও মেলা। সকাল থেকেই শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল, খন্ডক্ষেত্র, টেংগামাগুর, দাড়িগাছা, হরিণগাড়ী মানিকদিপা, বীরগ্রাম, খরনা নাথ পাড়া, কর্মকার পাড়া ছাড়াও পাশ্ববর্তী শেরপুর, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার কয়েক হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ টেংগামাগুর শীতলা বুড়িমাতা মন্দিরে পুজা করতে ভিড় জমায়।
তাদের বিশ্বাস বুড়িমাতার পুজো করলে এবং মানসা করে কিছু দিলে বিপদ-আপদ ও রোগ-বালাই থেকে মুক্ত হওয়া যায়। সমাগত ভক্তবৃন্দ বুড়িমাতা’র বেদীতে প্রণাম জানায়, মানসা হিসেবে দিয়ে থাকেন পাঠা, কবুতর, দুধ, কলা, সন্দেশ ইত্যাদি।
তাদের বিশ্বাস বুড়িমাতার পুজো করলে এবং মানসা করে কিছু দিলে বিপদ-আপদ ও রোগ-বালাই থেকে যুক্ত হওয়া যায়। সমাগত ভক্তবৃন্দ বুড়িমাতা’র বেদীতে প্রণাম জানায়, মানসা হিসেবে দিয়ে থাকেন পাঠা, কবুতর, দুধ, কলা, সন্দেশ ইত্যাদি।
এ মেলার আকর্ষণ ফল লিচু।একে অনেকে লিচুর মেলাও বলে থাকে।তবে এবার এখনো লিচুর সময় না আসায় এবার মেলায় আগের বছরের তুলনায় লিচু কম উঠেছে।আর লিচুর দাম ছিলো খুব বেশি।লোকাল ১০০ পিস লিচুগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা,ভারত থেকে আসা লিচু জাত ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭৫০ টাকা।আর এ লিচুর মেলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বসে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটু সামনেই মূল মেলা বসে।মেলার মাছ-মাংস, মন্ডা-মিঠাই, দই, রসালো তরমুজ, বাঙ্গী ইত্যাদি দিয়ে চলে নাইওরি আপ্যায়ন। এছাড়া হরেক রকমের খেলনা ও নাগর দোলায় আনন্দে মেতে ওঠে কোমলমতি শিশুরা। এই মেলা থেকে পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঠের আসবাবপত্র, লোহার সামগ্রি, বাঁশ- বেতের জিনিসপত্র কেনার সুযোগ পান স্থানীয়রা।
মেলায় বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের সাথে কথা বলে দেখা গিয়েছে,এই মেলার সাথে ধর্মের সম্পর্কে থাকলেও সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।কেননা মেলাটি এলাকার ঐতিহ্য।
মেলার ইজারাদারের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে, এবার মেলা সুন্দর ভাবে হচ্ছে,মেলার রাস্তা স্বাভাবিক রাখার জন্য আশেপাশে বেশকিছু গ্যারেজের ব্যবস্থা করেছি,মেলায় কোন ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আছেন। তাছাড়া প্রায় ১০০ জনের বেশি ভলেন্টিয়ার মেলায় তত্ত্বাবধানে করছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি