রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। আজ (শুক্রবার) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
ইসলামী দলসমূহের সহসভাপতি আবু তাহের জিহাদী আল কাশেমী বলেন, ‘সরকারকে বলছি, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে এ দেশ থেকে বের করে দেন। যেভাবে সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে পালানোর দিশা পাবে না। তাই আগেভাগেই রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেন। আল্লাহর নবীকে কটূক্তি করে এদেশে কেউ থাকতে পারবে না।’
চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আহ্বানে দেশব্যাপী মিছিলের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে পুরানা পল্টন জামে মসজিদ থেকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে একটি মিছিল পল্টন মোড়, জিরোপয়েন্ট হয়ে পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
সমাবেশে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন ও পণ্য বর্জন অব্যাহত রাখতে হবে। ফ্র্যান্সের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিন্দা জানাতে হবে এবং সংসদ অধিবেশন ডেকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা প্রস্তাব করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসও দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশও।
এসব বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশ করে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। এ জন্য ফ্রান্সকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ঈমানদার মুসলমানরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন করে ওদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবী (সা.)-এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শন করায় বিশ্বের দুইশ’ কোটি মুসলমান ব্যথিত হয়েছেন। ফ্রান্সের এহেন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের হৃদয়ের ক্ষত মুছতে হলে ফ্রান্সকে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। জাতীয় সংসদে মহানবী (সা.)-এর অবমাননার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে।