ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ভুয়া পদ সৃষ্টি করে স্ত্রীকে চাকরি দেয়ায় এবং বসিয়ে বসিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে টাকা দেয়ার ঘটনায় এ কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অর্থ আত্মসাৎ এবং তথ্য গোপন করার অপরাধে তার স্ত্রী পেনেলোপ ফিলনকে দেয়া হয়েছে তিন বছরের স্থগিত কারাদণ্ড।
এই কেলেঙ্কারির জন্য ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন ফিলন। তিনি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির অধীনে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফিলনকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি অফিস থেকে ১০ বছরের জন্য দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
বিচারক রায় ঘোষণার সময় জানান, কাজ না করিয়ে কিংবা অল্প কাজের বিনিময়ে ফিলন তার স্ত্রীকে হাজার হাজার ইউরো বেতন দিয়েছেন।
‘যে কাজ করা হয়েছে, তার সঙ্গে এই পারিশ্রমিক বেমানান,’ মন্তব্য করে প্রধান বিচারক বলেন, ‘মিসেস ফিলনকে যে পদে নিয়োগ দেয়া হয় তার কোনো ব্যবহারই হয়নি।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির অধীনে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফিলন। ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় অর্থ তছরুপের অভিযোগ ওঠায় ওই দল থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়া হলেও তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে প্রথম দফার ভোটেই তিনি বাদ পড়েন।
১৯৫৮ সালে ফ্রান্স রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার পর ফিলনই দেশটির প্রথম কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা যিনি এতবড় সাজার মুখোমুখি হলেন। সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন।