মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল হলেও ফেসবুক চালু না হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) বলছে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে ৫ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির নিজস্ব ব্যবসায়িক পেজ রয়েছে।
ই-ক্যাব-এর নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন গণমাধ্যমকে বলেন, “সব পেজ শুধু ফেসবুক বা অনলাইন বিক্রেতাদের নয় কারণ ওমনি চ্যানেলের ব্যবসাও সেখানে উপস্থিত থাকে।”
তিনি বলেন, এফ-কমার্স উদ্যোক্তারা প্রায় ২ থেকে ২.৫ লক্ষ ফেসবুক পেজ চালাচ্ছেন এবং এর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার পেজে নিয়মিত বেচা-কেনা হয়। অনলাইন কমার্স ইকোসিস্টেম পার্টনাররা অবশ্য বিশ্বাস করেন, সক্রিয় ফেসবুক বিক্রেতার সংখ্যা হয়ত এর থেকেও অনেক বেশি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এর সাবেক সভাপতি মাশরুর গণমাধ্যমকে বলেন, দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার ই-কমার্স বিক্রয়ের মধ্যে মধ্যে এফ-কমার্সের অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ।
ফাহিম আহমেদ তার কোম্পানির পারসেল ডেলিভারি প্যাটার্নের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে বলেছেন কারণ এটি বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে অনলাইন ক্রেতাদের কাছ থেকে ডেলিভারির জন্য নগদ অর্থ সংগ্রহ করে।
ডেলিভারির সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় পাঠাও-এর মতো কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিগুলো প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা লোকসান করছে।
ফাহিম আরও বলেন, যেহেতু এফ-কমার্স খদ্দেররা গত ১০ দিন ধরে নতুন অর্ডার পাননি সেহেতু তৃতীয় পক্ষের লজিস্টিক পরিষেবাগুলো শুধু মুলতুবি ডেলিভারি থেকে কয়েকটি পারসেল পাচ্ছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গতকাল (২৮ জুলাই) বলেছেন, মেটা এবং টিকটক কর্তৃপক্ষকে বুধবার (৩১ জুলাই) টেলিকম নিয়ন্ত্রকের সাথে একটি বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে এবং তারা যদি উসকানিমূলক ও ভুল তথ্য সম্বলিত বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনের প্রতি সম্মানশীল থাকে তবেই তাদের পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম