সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সব ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে থেকে তারেক রহমানের সকল বক্তব্য সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের এক সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে রুলের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এ নির্দেশ দেন। আদালতের এ আদেশের সময় বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করলে বিচারকরা এজলাস থেকে নেমে যান।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ রাজা ও সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আর বিএনপির আইনজীবী ছিলেন এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দস কাজল।
আজ শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বক্তব্য সরিয়ে নেয়ার আদেশ দেন। এজলাসের বাইরে শুনানির আগে থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শুনানির শুরুতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদেশ দেয়া বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানান। এ নিয়ে এজলাসেই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এজলাস কক্ষে তখন দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে টানা ৩০ মিনিটের মতো হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এজলাস কক্ষে অবস্থান নেন বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী। হট্টগোলের মধ্যে এজলাস ছাড়েন দুই বিচারপতি।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানকে পলাতক উল্লেখ করে তার সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম ও নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি