বছরের ৩০ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদ হলে এর মধ্যে ৯৫ ভাগ ফেসবুকের কারণে হয়ে থাকে। বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টারে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।হানিফ বলেন, শতকরা ৯৫ ভাগ বিবাহবিচ্ছেদ ফেসবুকের কারণে হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনায় মনোযোগ না দিয়ে ফেসবুকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। অভিভাবক যারা এখানে আছেন আপনারা ছেলে-মেয়েদের স্মার্টফোন কিনে দেয়ার আগে এ বিষয়গুলো চিন্তা করবেন।তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের কারণে স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহ করছে, স্ত্রী স্বামীকে সন্দেহ করছে। নিজেদের মধ্যে কলহ বাড়ছে। এক পরিবারে পাঁচ সদস্য থাকলে পারিবারিক কথা আর হয় না, সেখানে দেখা যায় সবাই ফেসবুক নিয়ে বসে আছে।হানিফ বলেন, সচেতন অভিভাবক হলে সন্তানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো হবে, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখছেন। আর অসচেতন হলে সন্তানরা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের মতো হবে, যিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাফি হত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে হানিফ বলেন, যিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেন, রোড পারমিট দেন সড়ক দুর্ঘটনার জন্য তারাও দায়ী। যে চালককে লাইসেন্স দেয়া হয় তাদের অধিকাংশই অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত। কোনও আইন জানে না, ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাদের লাইসেন্স দেয়ার কারণে এ সমস্যা হয়। প্রত্যেক দুর্ঘটনার পর যানবাহনের মালিককেও আসামি করে মামলা দিতে হবে। তাহলে মালিকরা আর অদক্ষ চালককে নিয়োগ দেবেন না।তিনি আরও বলেন, মাদকের ব্যাপারে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।