পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী কবীর সুমন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বারবারই সরব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
পশ্চিমবঙ্গের কবি, গীতিকার ও নির্মাতা শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা নিয়ে শুক্রবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। সরাসরি না লিখলেও বোঝা যাচ্ছে, তিনি কবিতাটি লিখেছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে। কবিতার প্রতিবাদে ফেসবুকে গতকাল রাত থেকে পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশের অনেক লেখক, কবি ও শিল্পী।
শনিবার দুপুরে কবীর সুমন নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সীমান্তের কাঁটাতার-বেড়া থেকে ফেলানী যখন ঝুলছিলেন, কিসের কার অবমাননা হচ্ছিল তখন?’
শুক্রবার রাতে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কবীর সুমনের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট আলোচনায় ছিল। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘আকারে বড় দেশগুলো মনে করে তারা তাদের আকারে ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোর মুরব্বি। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সে কিউবা, হাইতির বড়দা। পুয়ের্তো রিকোকে তো বড়দা অঙ্গরাজ্য মনে করে। ভারত মনে করে সে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের বড়দা।
‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া করে মর। আমি প্রেম করছি, প্রেম করে যাব।’ এভাবে শুক্রবার আরও একটি পোস্ট করেছিলেন সুমন।
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কবির সুমনের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে। তিনি সেখানে লিখেছেন- কোন পতাকায় লাথি দেয় কেউ, কোন পতাকায় ফুল। আমার প্রেমের পতাকা তোমার এলোমেলো হওয়া চুল। পতাকায় নয় কিছুই শুরু, পতাকায় নয় শেষ। আমিই ভারতবর্ষ প্রিয়া, আমিই বাংলাদেশ।
তিনি আরও লিখেছেন, কারা করে কার অপমান প্রিয়া কতগুলো উজবুক,আদরে আদরে এঁকে দেবো চলো সবার দেশের মুখ। ভুলে যাই কেন একজন ক্রুশে ঝুলেছেন একা একা। সকলের হয়ে, চলো প্রিয়তমা, যদি পাই তার দেখা। তিনি বলবেন এসো হাত ধরো,শত্রুতা ভুলে যাও। পতাকার চেয়ে ভালবাসা বড় প্রেমের গানটা গাও।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে গান লেখেন কবীর সুমন। পরে গানটি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে গেয়ে শোনান তিনি। গানটির কয়েকটি লাইন এমন, ‘মুক্তির এই আলো, বাংলাদেশ জ্বালালো, এ-লড়াই মুক্তির গান’।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম