ফের তুঙ্গে উঠেছে ভারত-চীন উত্তেজনা। লাদাখ নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই উত্তরাখণ্ডের সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এ ঘটনায় গভীর উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। এ-কাজে নেপালের সমর্থন রয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
এছাড়া উত্তর সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশেও সীমান্ত বরাবর সেনা মোতায়েন করছে বেইজিং। এ অবস্থায় সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন আরও বাড়িয়ে বেইজিংকে চাপে রাখার পরামর্শ ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞদের।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে কমান্ডার পর্যায়ে রোববার পঞ্চম দফা বৈঠকে বসে ভারত। ১১ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকে প্যাংগং লেকসহ পূর্ব লাদাখের একাধিক এলাকা থেকে চীনা সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়ে ফের আহ্বান জানায় দেশটি। চীনের মোলডো এলাকায় এই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংহ।
নয়াদিল্লি দাবি করে আসছে, বারবার আহ্বানের পরও ওই এলাকা থেকে এখনও সেনা সরায়নি বেইজিং। এর মধ্যেই নতুন কয়েকটি সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, উত্তরাখণ্ডের কাছে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিপুলেখ পাসে গেলো কয়েক দিন ধরে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে চীন। সম্প্রতি ওই এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নেপাল। বেইজিংকে এবার সহায়তা করছে কাঠমাণ্ডু। যা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন নতুন করে অস্বস্তিতে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীদল কংগ্রেস।
রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, লিপুলেখ পাসে আমাদের ভূখণ্ডে চীনা আগ্রাসন ঘটছে। দেশের রক্ষায় ভারতীয় সেনা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু চোখে চোখ রেখে যার কথা বলার ছিল, তিনি কোথায়? প্রধানমন্ত্রী কবে চীনকে বার্তা দেবেন?
এদিকে উত্তর সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশেও সীমান্ত বরাবর সেনা মোতায়েন করছে চীন। যা নিয়ে ভারত চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে।
তবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান বি এস ধানোয়া মনে করেন, সীমান্ত এলাকায় রাফাল ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-ফোর হানড্রেডের ব্যবহার আরও বাড়িয়ে বেইজিংকে চাপে রাখার কৌশল নেয়া উচিত নয়াদিল্লির।