অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ফের উত্তেজনা শুরু হয়েছে। গেলো কয়েকদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর আবারও টেকনাফ সীমান্তে গুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ৩টি ইউনিয়নের ৩১টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্ক ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম ও লোকজন সুত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা খারাংখালী এলাকায় থেমে থেমে গোলার শব্দ শুনতে পাচ্ছে সেখানকার স্থানীয় লোকজন। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গেল দেড় মাস ধরে চলছে গোলাগুলি। এদিকে কয়েকদিন ধরে গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তাতে এপারের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। ফের অনেকে নেমে পড়েন ধানখেত, জুমচাষসহ নানা কাজে।
কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করে আবারও শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ। ওপারে গোলাগুলি ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপের বিকট শব্দে এপারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। একের পর এক মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্র ও গোলার শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপালং, হোয়াইক্যং কানজর পাড়া ও খারাংখালী রাখাইন পাড়াসহ সীমান্তের প্রায় জনপদ। থেমে থেমে ওপারে অব্যাহত রয়েছে গোলাবর্ষণ। যার কারণে নাফ নদীসহ সীমান্ত এলাকায় আতঙ্কে কাজ করতে যাচ্ছে না জেলে ও দিন মজুররা।
এদিকে টেকনাফ হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, কয়েকদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর আবারও ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ শুরু করেছে মিয়ানমার। টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণের কারণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্তের কাছাকাছি যেসব জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। পাশাপাশি এসব এলাকার বাসিন্দাদের তালিকা তৈরি করে রাখছি যাতে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া সহজতর হয়।