এই মাল নিবেন, হরেক রকমের মেয়ে ও ছোট বাচ্চাদের খেলনা ও খোপার টুপি আছে। সকাল হলেই প্রতিদিন নাওয়া খাওয়া সেরে কখনো বা না খেয়েই নাটোর আব্দুলপুর থেকে ট্রেন যোগে আত্রাই আসে। আত্রাই এসে শুরু হয় বিভিন্ন স্কুল- মাদ্রাসা, বাজার গুলোতে নিজে পায়ে হেঁটে ছুটে চলেন রাজিব মিঞা। হাতের উপর একটি ডালাতে সাজিয়ে তার হাতের তৈরি করা ভ্রাম্যমান দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় হরেক রকমের মেয়েদের খোঁপার টুপি ও ছোট বাচ্চাদের খেলনা ফেরি করে বিক্রি করেন তিনি।
তার ভ্রাম্যমান দোকানে পাওয়া যায় ঐসব জিনিষপত্র প্রায় দশ প্রকারের জিনিস। তিনি ঢাকা চকবাজার থেকে মেয়েদের খোঁপার টুপি, কানের দুল,ছোট বাচ্চাদের খেলনার সরমঞ্জাদি কিনে থাকেন এবং নিজে ও পরিবারের সদস্যরা তৈরি করেন।
রাজিব মিঞা জানান, বছর পাঁচেক আগে কৃষিকাজে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। এত তিনি পুঁশিয়ে ওঠতে না পেরে ছেড়ে দেন কৃষি শ্রমিকের কাজ। বসে না থেকে আরম্ভ করেন নতুন ব্যবসা। তার কথায়“ হরেক রকমের মেয়ে ও ছোট বাচ্চাদের খেলনা ও খোপার টুপি” তিনি বিক্রি করেন।
তিনি বলেন, পার্শ্ববতী নাটোর জেলার আব্দুল পুর উপজেলায় তার বাড়ি। দুই মেয়ে দুই ছেলে স্থানীয় সররকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। কিছুদিন কৃষি কাজের দিন মজুরের কাজ করেছি, তার বিভিন্ন তরিতরকারি বেচা –বিক্রি করি, সেখানে পুষাতে না পেরে পাঁচ বছর ধরে আত্রাই উপজেলায় বিভিন্ন হাট–বাজারে ফেরি করে বেড়াই।
তিনি আরো জানান এ ব্যবসয় বেচাকেনা ভালোই হয়। তার অধিকাংশ ক্রেতাই গ্রামের মহিলা, যারা কেনাকাটার জন্য বাজারে যায় না তারাই তার কাছ থেকে নানা প্রকার মেয়েদের সাজনির ও বাচ্চাদের খেলনাপত্র কিনে থাকেন। অন্যন্য ব্যবসার মতো তাকেও খরিদ্দারদের বাঁকি দিতে হয়। তবে তিনি পরিচিত খরিদ্দারদের চিনে বাঁকি দিতে হয়। যাদের লেনদেন ভালো দাদেরকে বাঁকি দিতে তিনি কাপণ্য করেন না। তিনি আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে-স্কুল-কলেজে ফেরি করতে যান। একই গ্রামে বা একই বাজারে প্রতিদিন যান না। অন্তত এক সপ্তাহ পর পর এক স্থানে যান না। এতে বিক্রি ভালো হয়। বাড়ি থেকে সকালে খাবার সঙ্গে নিয়ে যান। বেলা হলেই কোথাও একটু বসে জিরিয়ে নিয়ে দুপুরের খাবার সেরে নেন।
এ ব্যবসায় তার প্রতিদিন চারশত থেকে পাঁচ শত টাকা আয় হয়। বিশেষ করে দুই ঈদ ও পূজার সময় তার বেচাকেনা সব চেয়ে বেশিহয়। তিনি জানালেন সংসারে মা-বাবা,স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে এখন তার দিন ভালোই কাটছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি