গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। পুরস্কার প্রদান শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন।
অনুষ্ঠানে স্ক্রিপ্টের বাইরে শিল্পী সমিতির প্রচার চালিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস— এমন অভিযোগ তুলেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ফেরদৌস-পূর্ণিমার এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জায়েদ খান।
দীঘি, সাইমন, সোহানা সাবা ও গাজী আব্দুন নূরের একটি পরিবেশনার শুরুতে পূর্ণিমা বলেন, ‘এবার মঞ্চে আসছে তারকাবৃন্দ, শিল্পী সমিতির পরিবেশনায়…।’ পূর্ণিমার কথা কেড়ে নিয়ে তখন ফেরদৌস বলেন, ‘ও বুঝতে পেরেছি রিয়াজ ও নিপুণ।’
ফেরদৌসকে থামিয়ে আবারো পূর্ণিমা বলেন, ‘শিল্পী সমিতির পরিবেশনায়…।’ এবারো ফেরদৌস বলেন, ‘ইলিয়াস কাঞ্চন ও রোজিনা আপা… এবার শিল্পী সমিতির পরিবেশনায়…।
তখন ফেরদৌস কথা বলতে গেলে পূর্ণিমা বলেন, ‘এখানে যেটা লেখা আছে সেটা বলতে দাও প্লিজ। এরপর পূর্ণিমা বলেন, ‘শিল্পী সমিতির পরিবেশনায় মঞ্চে আসছেন সবার প্রিয় দীঘি, সাইমন, সোহানা সাবা ও গাজী আব্দুন নূর- দেখবো একটি দারুণ পারফরম্যান্স!’
এ বিষয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। ওরা এই আয়োজন শিল্পী সমিতিকে ক্রেডিট দিতে চেয়েছে। যেটা মিথ্যাচার! এটা মোটেও শিল্পী সমিতির পরিবেশনা ছিল না। আমি খোঁজ নিয়েছি বিটিভি থেকে দেওয়া স্ক্রিপ্টে কোথাও শিল্পী সমিতির পরিবেশনা লেখা ছিল না। ফেরদৌস এখানে শিল্পী সমিতির পরিবেশনা কথাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লাগিয়েছেন। নিপুণ ও ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রচার চালিয়েছেন। ফেরদৌস ও পূর্ণিমার এই কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’
এ নায়ক আরও বলেন, অনুষ্ঠানের সব নাচ হয়েছে নৃত্যপরিচালক সোহাগের পরিবেশনায়। তার ক্রেডিট নিয়েছে শিল্পী সমিতি। আমাকে খোঁচা দেয়ার জন্য করা হয়েছে এটি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সামনে নিপুণকে বৈধ করতে চেয়েছেন। স্ক্রিপ্টের বাইরে নিজেদের মতো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা অনৈতিক।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম