অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের সাথে নাওডাঙ্গা ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ব্যস্ততম ফুলবাড়ী-বালারহাট সড়কের বেহালদশায় জন-দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে গোটা সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অহরহ দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে চলাচলকারী যানবাহন ও
পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের তিনকোণা মোড় থেকে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুলবাড়ী টু বালারহাট সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার নাওডাঙ্গা ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণ উপজেলা সদরে যাতায়ত করে। তাছাড়া দুই ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সহ সার্বিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট বালারহাট এই সড়কের শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি, পিকআপ ভ্যান, মালবাহী ট্রাক্টর, চলাচল করে। সড়কটি খানাখন্দে পরিপূর্ন থাকার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই খালে পড়ে অহরহ দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা অবিনাশ রায় বলেন, উপজেলা সদরে আমার ঔষধের দোকান থাকার কারনে প্রতিদিন সকালে যাই রাতে বাড়ী ফিরি। বালারহাট থেকে অটোরিক্সায় ফুলবাড়ী যেতে আগে ১৫/২০ মিনিট সময় লাগতো। রাস্তায় গর্ত থাকার কারনে এখন ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় লাগে।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় এলাকার ব্যবসায়ী এনামুল হক, আমিনুল ইসলাম বলেন, গোটা সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে শত শত গর্ত তৈরি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় চরম কষ্টে চলাচল করছি। আমরা সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব জানান, ফুলবাড়ী টু-বালারহাট সড়কের বেহালদশা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। এরই মধ্যে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার ৪০৮ টাকা ব্যায়ে ১৫০০ মিটার সড়কের কাজ চলমান আছে। আশা করছি সামনের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের মধ্যেই সড়কটির বাকি অংশের মেরামতের কাজ সমাপ্ত হলে জনদূর্ভোগ দুর হবে।