অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব-ফুলমতি গ্রামের মো.মনিরুজ্জামান মনির। বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন ১৯৮৪ সালের ৩০ ফেব্রুয়ারী । ৩৯ বছর চাকরিজীবন শেষে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারী) ছিলো তার অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার দিন। প্রবীণ এই পুলিশ সদস্যের চাকরি জীবনের শেষ মূহুর্তটি স্মরণীয় করতে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করে লালমনিরহাট পুলিশ লাইন। বিদায়ী সংবর্ধনা শেষে ফুল, বাহারী বেলুন ও রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো সরকারি গাড়িতে তাঁকে পৌঁছে দেওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বফুলমতি গ্রামে। চাকরি জীবনের শেষ দিনে সহকর্মীদের কাছে থেকে এমন সম্মান পাওয়াতে অভিভূত এই প্রবীণ পুলিশ সদস্য।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩ টায় লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মনিরুজ্জামান মনিরকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মনিরুজ্জামানের হাতে বিদায়ী উপহার তুলে দেওয়া হয়। বিদায় অনুষ্ঠানে আবেগঘন বক্তব্য দেন পুলিশ লাইনের আর,আই কামরুজ্জামান। এ সময় লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান, পুলিশ লাইনের আর, ওয়ান ফরহাদ হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়বেলায় লালমনিরহাট পুলিশ লাইন প্রাঙ্গণে এক আবেগঘন মুহুর্তের সৃষ্টি হয়। সহকর্মী সবাই মনিরুজ্জামানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মানে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান।
মনিরুজ্জামান মনির চাকুরি কালীন সময়ে রাজশাহী, বগুড়া, বান্দরবন, সৈয়দপুর, নীলফমারী, রংপুরসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত ছিলেন এবং সবশেষে তিনি লালমনিরহাট জেলা আদালতে কর্মরত ছিলেন।
লালমনিরহাট পুলিশ লাইনের আর,আই মো:কামরুজ্জামান বলেন, সত্যিকার অর্থে বিদায় বেলাটা খুব কষ্টের। তাঁর বিদায় মুহুর্তকে স্মরণ করে রাখতেই মূলত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আবেগাপ্লুত হয়ে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, চাকরি জীবন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়া অনেক আনন্দের। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান ও আই,আই কামরুজ্জামান স্যারসহ অন্যান্য সহকর্মীরা আমাকে অনেক সম্মান জানিয়েছেন। স্যারের গাড়িতে করে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। বিদায় বেলার এতো বড় সম্মান আমার আজীবন মনে থাকবে।