ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চলতি দাখিল পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর কুটি চন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসার ৭জন শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপ করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি একজনও। বিষয়টি ওই মাদ্রাসার সুপারকে অবগত করেছেন কেন্দ্র সচিব। কিন্তু দুইটি পরীক্ষা অতিবাহিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত শিক্ষার্থী শিক্ষক কেউই যোগাযোগ করেনি।
স্থানীয়রা জানান, নন এমপিও ওই মাদ্রাসাটির ঘর দরজা থাকলেও পাঠদান হয়না নিয়মিত। ফলে ধার করা বা বিবাহিত শিক্ষার্থী দিয়ে ফরম ফিলাপ করায় এমন অবস্থা হয়েছে।
জানা গেছে, এ বছর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ১৯টি মাদ্রাসার ৫০৪ জন পরীক্ষার্থী শাহবাজার এ এইচ ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। তার মধ্যে উত্তর কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসার ৭জন পরীক্ষার্থী ছিল ওই কেন্দ্রে। প্রথম দিন কুরআন মজিদ ও তাজভিদ ও শনিবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুইটি পরীক্ষা অতিবাহিত হলেও উত্তর কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসার কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেনি। তাদের রোল নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রের ৭ নং কক্ষের আসনে বসানো হলেও সেগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।
উত্তর কুটিচন্দ্রখানা এলাকার হয়রত আলী ও সুলতান মিয়া জানান, মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা তেমন আসেন না, নিয়মিত ছাত্রছাত্রীও নাই। তবে তাদের ঘর দরজা আছে।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার সুপার মজাহার আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা বিবাহিত হওয়ায় কেউই পরীক্ষা দিতে। আমি চেষ্টা করেছি, তাও আসেনি।
শাহবাজার এ এইচ ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আবুল কাশেম সরকার বলেন, উত্তর কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসার ৭জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় একাধিক বার সুপারকে মোবাইল ফোনে কল দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।