অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ছিটরাবাইটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকের রাস্তা নিজেদের দাবী করে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ওই এলাকার দুলাল মিয়া।
এর আগে বিদ্যালয়ে প্রবেশের পুর্ব দিকের রাস্তাটিও নিজেদের দাবী করে ঢেউটিন ও পাটকাঠির বেড়া (চ্যাকার) বন্থ করে দিয়েছে একই এলাকার আব্দুল কাদের ও তার ভাইয়েরা । তারা রাস্তার মাটি কেটে আবাদী জমিতে ফেলেছে আর চলাচল বন্ধ করতে তৈরী করেছে গভীর নালা। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বিদ্যালয়ের আশেপাশে বসবাসকারী প্রায় শতাধিক পরিবারের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয় মাঠের মধ্যদিয়ে পুর্ব থেকে পশ্চিমগামী ওই রাস্তা দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। বিদ্যালয় সংলগ্ন ছিট রাবাইটারী গ্রামের শতাধিক পরিবারের লোকজনও পার্শ্ববর্তী নেওয়াশী বাজার সহ উপজেলা সদরে যাতায়ত করে। মাস খানেক আগে মাঠের পুর্ব দিকে বেড়া দিয়ে বন্ধ করলেও পশ্চিম দিক দিয়ে যাতায়ত চলতো । কিন্তু গত মঙ্গলবার দুলাল মিয়া লোকজন নিয়ে ওই রাস্তার মাটি কেটে জমিতে ফেলেন এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। ফলে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথ দুই দিক থেকে বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প রাস্তা না থাকায় জমির আইল, সুপারী বাগান ও বাঁশ ঝাড়ের ভিতর দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। রাস্তা না থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে অনেকাংশে।
ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাসুম, রিপন, হাবিবা জানায়, স্কুলের সামনের রাস্তা বন্ধ থাকলেও আমরা পিছনের রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতাম। কিন্তু গতকাল সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যেও জমির আইল দিয়ে হাটলে গালিগালাজ করে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল আসা ছেড়ে দিয়েছে।
ওই গ্রামের আলহাজ্ব মেছের আলী, রহমত আলী, খয়ের উল্ল্যা জানান, জন্ম থেকে ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করছি। এখন হঠাৎ করে তারা ওই জমির মালিকানা দাবী করে সামন পিছন দুইপাশে বেড়া দিয়ে বন্ধ করেছে।
রাস্তার জমির মালিকানা দাবীকারী আব্দুর কাদের ও দুলাল মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বে রেকর্ডী রাস্তা থাকলেও মানুষ সেটি দিয়ে চলাচল না করে আমাদের জমি দিয়ে হাটে। তাই বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বলেন, রাস্তা বন্ধ করার ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এরশাদুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত প্রসাশনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।