ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রায় ৬ শতাধিক অসহায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতাভোগীর ৬ মাসের ভাতার টাকা প্রতারকের বিকাশ নম্বরে চলে গেছে। ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সামনে দিনের পর দিন ধর্না দিচ্ছেন বঞ্চিত ভাতাভোগিরা।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৯ হাজার ৮২৩ জন বয়স্ক, ৪ হাজার ৮৫১ জন বিধবা এবং ৩ হাজার ২২৬ জন প্রতিবন্ধি সহ মোট ১৭ হাজার ৯০০ জন ভাতাভোগি রয়েছেন। তারা পুর্বে বইয়ের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করলেও ২০২০-২০২১ অর্থ বছর থেকে ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ফলে সারা দেশের ন্যায় ফুলবাড়ীতেও ভাতাভোগীরা একাধিকবার তাদের নিজ নিজ বিকাশ নম্বর অফিসে জমা দেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিস ভাতাভোগিদের বিকাশ নম্বর তালিকা করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করে। চলতি জুন মাসে ভাতাভোগিদের বিকাশ নম্বরে বয়স্ক ও বিধবা জনপ্রতি ৩ হাজার এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধি জনপ্রতি ৪ হাজার ৫০০ আসে। কিন্তু ১৬৬৪ নম্বর বইধারী অসচ্ছল প্রতিবন্ধি ভাতাভোগি দোলেনা বেগম বিকাশ নম্বর ০১৭২৩৬৪০১৬১ তার টাকা গেছে ০১৭২৫৩৯৫০০৭ নম্বরে, ১২৫ নম্বর বইধারী খলিলুর রহমান বিকাশ নম্বর ০১৭৯৬৮০৭৪৯০ তার টাকা গেছে ০১৭১০৪১৩০৯২ নম্বরে, ৬৯১ নম্বর বইধারী বয়স্ক ভাতাভোগি ক্ষিতিশ চন্দ্র বিকাশ নম্বর ০১৮৪১৩৯১০২৭ কিন্তু টাকা গেছে ০১৭৬৩৯৭৯১০৩ নম্বরে সহ প্রায় ৬ শতাধিক ভাতাভোগির টাকা প্রতারকদের নম্বরে চলে যায়। ওই সকল নম্বরে কল দিলে প্রত্যেকটি নম্বর সব সময় বন্ধ থাকে বলে ভাতাভোগীরা জানান।
বঞ্চিতদের অভিযোগ, অফিসের একটি চক্র ভাতাভোগিদের নম্বর পরিবর্তন করে ঢাকায় তালিকা প্রেরণ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সোমবার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের কার্যালয়ে গেলে তিনি আসেননি বলে জানা যায়। পরে ফোনে তিনি কিছু ভাতাভোগীর টাকা অন্য নম্বরে চলে যাওয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক যে সকল ভাতাভোগির টাকা অন্য নম্বরে গেছে তাদের তালিকা করে অফিসের পক্ষ থেকে ওই নম্বর গুলোর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হবে। এর সাথে অফিসের কোন চক্র জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওটা সত্য নয় ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।