কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্রামে ধরলা নদীর ভাঙ্গন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই মাসে ধরলার ভাঙ্গনে নদী নিকটবর্তী ওই গ্রামের ফসলী জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালার বাগান সহ চলাচলের একমাত্র রাস্তার প্রায় দুইশত পঞ্চাশ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ভাঙ্গন হুমকির মুখে পড়েছে ওই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার।
চর গোরকমন্ডল গ্রামের বাসিন্দা আমীর হোসেন (৪৫) জহুরুল হক (৫০) জাহাঙ্গীর আলম (৩৮) জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এই এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে প্রায় শতাধিক বিঘা আবাদী জমি, গাছপালার বাগান ও বাঁশঝাড় নদী গিলে খেয়েছে। আর গত এক সপ্তাহে আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও নদীতে চলে গেল। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে দুই চার দিনের মধ্যে বাড়ী ভিটাও নদীতে চলে যাবে।
চর গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, এই গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন’শ পরিবার বাস করে। তাছাড়া একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাদ্রাসা, চারটি মসজিদ, একটি সরকারী আবাসন প্রকল্পসহ বেশকিছু গুরত্বপূর্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই গ্রামে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা না নিলে হয়তো অল্পদিনের মধ্যেই ফুলবাড়ী উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে নদী তীরবর্তী এ গ্রামটি।
এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসেন আলী জানান, চর গোরকমন্ডল এলাকার নদী ভাঙ্গন উদ্বেগ জনক। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে আবেদন করে মাননীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মাত্র দুইশত জিও ব্যাগ প্রদান করেছে। যা দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।