প্রখর রোদ, প্রচন্ড তাপদাহ এবং লাগাতার খরা থেকে বাঁচতে এক পশলা বৃষ্টি চেয়ে মহান আল্লাহপাকের কাছে আবেদন জানাতে দুই রাকাত ইস্তিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মিয়াপাড়া নাজিম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুই শতাধিক ধর্মপ্রান মুসল্লী সমবেত হয়ে এ বিশেষ নামাজে আদায় করেন।
ইস্তিসকার নামাজের সময় মুসল্লীরা পড়নের পাঞ্জাবি ও টুপি উল্টো করে পড়েন এবং হাত উল্টো করে মোনাজাত করেন। প্রখর রোদ্রের মধ্যে মোনাজাত করার সময় মুসল্লীদের শরীর ঘামে ভিজে যায়। কান্না জড়িত কন্ঠে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের নিমিত্তে রাব্বুল আলামীনের নিকট বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ জানান। এসময় মুসল্লীদের মাবুদ মাবুদ চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন ফুলবাড়ী কাচারী মাঠ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।
অন্যদিকে একই সময়ে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারী ঈদগাহ মাঠ ও কাশিপুর ইউনিয়নের গংগাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
ইস্তিসকার নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লী রফিকুল ইসলাম, আবুবক্কর সিদ্দিক ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২৫ বছর আগে একবার এরকম তাপদাহ দেখেছি। ২৫ বছর পর আবারও সেই পরিস্থিতি দেখছি। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। রোদের তাপে দিনের বেলা ঘর থেকে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। সেজন্য সবাই মিলে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করেছি। আল্লাহ যেন আমাদের দোয়া কবুল করেন।
ফুলবাড়ী কাচারী মাঠ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক জানান, আজ বৃষ্টির জন্য দু’রাকাত সালাতুল ইস্তিসকা নামাজ আদায়ের পর মোনাজাত করা হয়েছে। এটি একটি সুন্নতি আমল। এ নামাজে প্রচন্ড খরা থেকে ফসল ও মানুষের স্বস্তির জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ফুলবাড়ীসহ কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে এক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। এ তাপমাত্রা কমার কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৪১ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান (বাপ্পি)