কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করছেন গার্মেন্টস কর্মী এক প্রেমিকা। উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলমতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক সোহেল রানা (২২) ওই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। প্রেমিকা আলপনা খাতুন (১৯) একই ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অবস্থানের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোহেল রানার বাড়ীতে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমে যায়।
জানা গেছে, ঢাকার জামগড়া এলাকায় গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাদে একই এলাকার যুবক সোহেল রানার সঙ্গে আলপনা খাতুনের পরিচয় হয়। ৬ মাস ধরে চলে প্রেম। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরিক সম্পর্কও স্থাপন করে প্রেমিক সোহেল। এক সপ্তাহ আগে তারা ঢাকা থেকে এলাকায় এসে বাড়ীর পাশে বোনের বাড়ীতে উঠে। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর সোহেল আলপনাকে তার বাপের বাড়ীতে রেখে আসে। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে আলপনার বাড়ীর লোকজন রাজি থাকলেও সোহেলের পরিবারের লোকজন বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে তারা সোহেলকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখেন।
✪ আরও পড়ুন: ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
এদিকে সোহেলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন আলপনা। পরে শুক্রবার বিকালে প্রেমিকের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করেন। আলপনা খাতুন জানান, সোহেল রানা তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
স্থানীয় মোক্তার আলী ও সোবেদার রহমান জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে ওই প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে সোহেলের বাড়িতে অবস্থান করছেন। পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে সোহেল রানার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের কোন রকম প্রেমের সম্পর্ক নাই।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। এখন পর্যন্ত মেয়ের পরিবার থানায় কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।