কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার রাবাইতারী এসবি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (১২)। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। দুই হাতের কুনই ও দুই পায়ের হাঁটুতে ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে চলে সে। হাঁটু গেড়ে বসা ছাড়া দাঁড়ানোর উপায় নেই তার।
কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি তাকে। হামাগুড়ি দিয়েই বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দুরের বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করে সে। লেখাপড়া করে সে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। ঘোচাতে চায় বাবা-মায়ের দুঃখ কষ্ট। কিন্তু হামাগুড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে ভারি কষ্ট হয় তার। হুইল চেয়ারও চালাতে পারেনা ঠিকমত। তাই প্যাডেল যুক্ত ট্রাইসাইকেলে চড়ে স্কুলে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছে সে।
সোহেলের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সোহেল সবার ছোট। বড় ছেলে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে এখন দিনমজুরি কাজ করে। ধারদেনা এবং প্রতিবেশীদের সহায়তায় অনেক কষ্টে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। আর ছোট মেয়ে নাগেশ্বরী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। দুই শতাংশের বসত ভিটা ছাড়া নেই কোন আবাদী জমি। সোহেলের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আর অন্যের জমিতে দিনমজুরি দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকমে চলে সংসার। প্রতিবন্ধী ছেলেকে তিন চাকার হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্য নাই তার।
তিনি আরও বলেন, সমাজের কোন বিত্তবান দানশীল ব্যক্তি যদি একটা তিন চাকার হুইলচেয়ার কিনে দিতো তাহলে ছেলেটার কষ্ট লাঘব হতো। সোহেলের বাবার বিকাশ নম্বর-০১৩১০১৮৫৬৭২।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সোহেলকে সহায়তা করা হবে।