কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক এক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়েছেন। উপজেলা সদরের জিরোপয়েন্টে সোমবার রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কয়েকদিন থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি তমাল গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সদরের জিরো পয়েন্টে মহড়া শুরু করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ, শামিম, নুরনবী, লিমন এবং তুষারের চাচা মিজানুরসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহতদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার, তার চাচা মিজানুর রহমান ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, প্রথমে তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। তদন্ত করলে আসল রহস্য বের হবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল জানান, আমরা মিটিং শেষে কার্যালয় থেকে বের হচ্ছিলাম। এ সময় মেহেদী লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে। তারা কার্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছে, আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন জানান, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, কাউকে আটকও করা হয়নি।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি