ফিলিপাইনে ঘুর্ণিঝড় ট্রামির তাণ্ডবে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে ক্রিস্তিন নামে পরিচিতি পাওয়া তীব্র ক্রান্তীয় ঝড় ট্রামির প্রভাবে দ্বীপপুঞ্জটির প্রধান দ্বীপ লুজনে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টার আবহাওয়া বুলেটিনে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ঘন্টায় একটানা সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগসহ ঝড়টি পার্বত্য উত্তরাঞ্চল কোর্দেলিয়ারার ওপর দিয়ে পশ্চিমমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। এসময় উত্তরাঞ্চলের কিছু প্রদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস ও কোথাও কোথাও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বুলেটিনে সতর্ক করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকদিনে কেন্দ্রীয় বিকোল অঞ্চলে পানিতে ডুবে ও ভূমিধসে। এই অঞ্চলের নাগা শহরে বৃহস্পতিবার ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ট্রামি উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ইসাবেলা প্রদেশের ডিভিলাকান শহরের ওপর দিয়ে স্থলে উঠে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো মৃত্যুর খবর হয়নি বলে শহরটির দুর্যোগ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ঝড়টির গমনপথ বরাবর ভারি বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির সরকার এই অঞ্চলগুলোর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
দমকল দপ্তর জানিয়েছে, এক লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ জরুরি শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশই বিকোল অঞ্চলের বাসিন্দা। বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ডুবতে শুরু করার পর তারা এলাকা ছাড়েন।
ফিলিপাইনের বেসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে অন্তত এক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরপর দ্বিতীয় দিনের মতো বৈদেশিক মুদ্রা ও সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ রেখেছে।
প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনে প্রতি বছর গড়ে ২০টি ক্রান্তীয় ঝড়ের কবলে পড়ে। সাধারণত এ সময় ভারি বৃষ্টি, প্রবল ঝড় ও প্রাণঘাতী ভূমিধস হয়ে থাকে।
আজ ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৩৩ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি