ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘ট্রামি’ আতঙ্কে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। চলতি বছর ফিলিপাইনে ১১তম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে যাচ্ছে ‘ট্রামি’।
ঝড় মোকাবিলায় জরুরি উদ্ধারকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বুধবার (২৩শে অক্টেবার) নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। খবর রয়টার্সের।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া পূর্বাভাসকারী সংস্থা পাগ-আসা সকাল ১১টার বুলেটিনে ঘূর্ণিঝড় ট্রামি অরোরা প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কাসিগুরান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
পরিস্থিতি সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসতে বাকি, আমি ভয় পাচ্ছি। আসুন আমরা সবাই প্রস্তুত হই।’
তিনি বলেন, ‘নদ-নদীতে পানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমাদের এটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।’
ভূমিতে আঘাত হানার আগেই, ট্রামির প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার লুজোন, ভিসায়াস ও আলবে প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি অনেক বাড়ির ছাদের মতো উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
সিভিল ডিফেন্স অফিস বলেছে, মাসবাত প্রদেশের পালানাস শহরে ভূমিধসে অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরো পাঁচজন আহত ও সাতজন নিখোঁজ বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া সংস্থা পাগ-আসা উপকূলীয় শহরগুলোতে শক্তিশালী বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের ঢেউয়ের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম