যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সাকিব তার ম্যানেজারকে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তহবিল সংগ্রহে যখন ব্যস্ত তখন ‘সাকিবের ফার্মে বেতন নেই ৪ মাস, শ্রমিকরা বিক্ষোভে রাস্তায়!’ এমন খবরে বিব্রত হয়ে যান খোদ সাকিব। এ কারণেই চটজলদি সিদ্ধান্তটাও এসেছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় গড়ে উঠা ‘সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ এর শ্রমিকদের জন্য সুখবর। বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকা শ্রমিকরা বুঝে পাবেন তাদের পারিশ্রমিক।
এর আগে সোমবার (২০ এপ্রিল) সাকিব আল হাসানের কাঁকড়া খামারের দুই শতাধিক শ্রমিক চার মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না সাকিবের সেই অ্যাগ্রোর কর্মচারীরা। এ জন্য কাঁকড়া চাষে জড়িত থাকা শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামেন।
এ অবস্থায় সাকিব আল হাসানের কাঁকড়া ফার্মের অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী সাগির হোসেন পাভেল জানালেন, ‘আমি সোমবার ঘটনা ঘটার পর সাকিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। ফার্মের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সাকিব সব শ্রমিকের যাবতীয় সব পাওনা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও আমরা শ্রমিকদের আগেই জানিয়েছিলাম যে, ৩০ এপ্রিল তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হবে। সাকিবও এ বিষয়ে জানতেন। তারপরও এটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।’
তবে সব শ্রমিক চার মাসের বেতন পাচ্ছেন না। সগির হোসেন পাভেল জানান, তারা গত জানুয়ারিতেই ৮০ ভাগ শ্রমিককে বিদায় করেছিলেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কাঁকড়ার চাহিদাও কম। সবচেয়ে বড় বাজার চীনে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ। ৩৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা সাকিবের এই খামারে উৎপাদিত কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানিও থেমে গেছে।