একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ভরা পর্যটন মৌসুমেও ফাঁকা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের সমাগম না ঘটায় হতাশা বিরাজ করছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে। তাদের দাবি, পর্যটক না আসায় পর্যটন খাতে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার বেশি লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার; যেখানে ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় কাঙ্ক্ষিত পর্যটন মৌসুম। প্রতিবছর এই মৌসুমে ঢল নামে হাজারো পর্যটকের। যার প্রতীক্ষায় বুক বাঁধে সৈকতের এলাকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভর পর্যটন মৌসুমেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের। ফলে সৈকত এলাকার ফটোগ্রাফার, কিটকট ব্যবসায়ী ও বার্মিজ দোকানিরা বেকার সময় পার করছেন। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান, লোকজন না আসায় ডিসেম্বর মাসে টাকা আয় করতে পারছেন না। পূর্বে দিনে ২০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন। আর নির্বাচনের পর যদি পর্যটকরা না আসে তাহলে তারা পথে বসবেন। এদিকে একই অবস্থা চার শতাধিক হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্টগুলোতে। সেখানেও নেই ব্যস্ততা। তাদের দাবি; রুম বুকিং দিয়েও অনেকেই বুকিং বাতিল করছে। কক্সবাজারের এক হোটেলের ম্যানেজার বলেন, এবার আশানুরূপ কোন সাড়া পাচ্ছিনা। সেই সঙ্গে আমাদের অনেক বুকিং অর্ডারও গ্রাহক বাদ দিচ্ছেন। তবে হোটেল অনার্স এসোসিয়েশনের মুখপাত্র সাখাওয়াত হোসাইন জানালেন, নির্বাচনের পর যদি পর্যটকের সমাগম ঘটে তাহলে বর্তমানের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এখানে সবগুলো খাত থেকে রাজস্ব আদায় করার কথা। সেইখানে আমরা দুই কোটি টাকাও আদায় করতে পারি নাই। হোটেল মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, গেল বছরগুলোতে পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন কক্সবাজারে অর্ধ-লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটে। কিন্তু এবছর প্রতিদিনই ৫ হাজার পর্যটকেরও সমাগম ঘটছে না।