ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের মুজিব সড়কে ডিসি অফিস, প্রেস ক্লাব ও জনতা ব্যাংকের মোড়ে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করতে পারেননি। এ অবস্থায় তারা পশ্চিম খাবাসপুরে মেডিকেল কলেজের অদূরে বটতলায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক হয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি পৌঁছালে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ের দিক থেকে শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২ শতাধিক নেতাকর্মী হামলা চালান এবং মিছিলকারীদের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। আন্দোলনকারীরা প্রায় ৫ শতাধিক ছিলেন। এরমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। পুলিশ ছিল অর্ধশতাধিক।
আন্দোলনকারীরা গনমাধ্যমকে জানান, স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে সামনে এগোনোর সময় প্রথমে আওয়ামী লীগের লোকেরা হামলা করেন। এ সময় তারা রাস্তার পাশে ইট-খোয়া দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন। এ সময় তারা পালিয়ে গেলে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় হতে পুলিশ তাদের দিকে প্রথমে টিয়ারগ্যাস এবং পরে রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে এতে রনি নামে একজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও পাওয়া গেছে।
এদিকে, সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আজকের কাগজের প্রতিনিধি শ্রাবণ হাসান, দৈনিক ফতেহাবাদের জাকিব হোসেন ও ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি জহির উদ্দিন আহত হন। শ্রাবণ হাসান বলেন, সাংবাদিকদের দেখে এক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পুলিশ। এতে তারা আহত হন।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:৪৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি