স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
সোমবার (৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির থানাধীন নানুপুর সাকিনের ৪নং ওয়াডস্থ মোবারক আলী পন্ডিত বাড়ি দারুস সালাম ঈদ গাহ মাদ্রসা এলাকায় অবস্থিত সরকারী খাস জায়গায় দারুস সালাম ঈদগাওঁ মাদ্রসায় ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য নানুপুরের মুহাম্মদ হাসান প্রকাশ পাঠান হাসান (৩৫) এর সাথে সোমবার সকাল ৯ টার সময় মাদ্রাসার হুজুরদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এরপর হাসান ১৫/২০ জন ভাড়া করা গুন্ডা নিয়ে উপস্থিত হয়ে মাদ্রাসা ভাংচুর ও ছাত্রদের উপর হামলা করে। তখন মাইকে হামলার কথা প্রচার করা হলে পাশের মোবারক আলী পন্ডিত বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে মুহাম্মদ হাসান প্রকাশ পাঠান হাসান (৩৫) বাহিনীর লোকদের সংঘর্ষ বাঁধে। তখন মুহাম্মদ হাসান প্রকাশ পাঠান হাসান (৩৫) তার স্যুটারগান থেকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৫ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।আহতরা হলেন ইমরান (২৭), নুর উদ্দিন (২৬), মজিব উল্লাহ (১৮), বাহাদুর (৬৫) ও জোবায়ের (২৮) তারা সবাই বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মুহাম্মদ হাসান প্রকাশ পাঠান হাসান (৩৫) মাইজভান্ডার পাঠান হাসান বলে এলাকার সবাই তাকে চেনে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষীতে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মনিরুল হক ফটিকছড়ি থানা মামলা মামলা করেন। মামলা হওয়ার পরপরই র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ ব্যপারে ছায়াতদন্ত শুরু করে। এমতাবস্থায় গ্রেফতার এড়াতে হাসান (৩৭) কক্সবাজার এলাকায় গা ঢাকাদেয়। গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, মুহাম্মদ হাসান প্রকাশ পাঠান হাসান (৩৫)আত্মগোপন করার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। যাওয়ার পথে বুধবার (০৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শোলকবহর এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনার নেপথ্যে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার জন্য নিয়মিত তদন্তের পাশাপাশি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ছায়া তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।