বিনোদন ডেস্কঃ একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছরের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। আজ ২৩ জুলাই তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশীয় সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন গুণী এই শিল্পী। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলে।
শুধু গায়ক নন, তিনি একজন লেখকও ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তার প্রথম বই ‘চেনা চায়না’ প্রকাশ করেন। ২০১৩ সালে তিনি ৩টি বই প্রকাশ করেন-অমর কথা, যারা আছে হৃদয় পটে এবং স্মৃতি আলাপনে মুক্তিযুদ্ধ। তিনি মোট নয়টি বই রচনা করেছেন। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীত শিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি।
সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীর একুশে পদক পান। এছাড়া ভাসানী পদক, সিকোয়েন্স সম্মাননা পদকসহ পেয়েছেন নানা পুরস্কার।
উল্লেখ্য, পরিবার, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা ভরে প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে। ফকির আলমগীরের গাওয়া গানের সংখ্যা অগণিত। সেই অসংখ্য গানের মধ্য থেকে কিছু গান জয় করে নিয়েছে প্রজন্ম ও কালের সীমানা। আর সেসব গানের মাঝেই ফকির আলমগীর বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।