চুরি রুখতে নিরাপত্তা সংস্থা ‘ট্রেন্ড মাইক্রো’-র হাতে দায়িত্ব দিয়েছিলো গুগল। সবকিছু খতিয়ে দেখে ২৯টি ক্ষতিকর অ্যাপের তালিকা তৈরি করে তারা। যার মধ্যে বেশিরভাগই বিউটি এবং ক্যামেরা ফিল্টার অ্যাপ, যার সাহায্যে খারাপ ছবিকেও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
তদন্তে নেমে জানা যায়, ভারতসহ এশিয়াতেই ওই অ্যাপগুলির ব্যবহার বেশি। একবার ফোনে ইনস্টল করলে গ্রাহকের সব ছবি হাতিয়ে নেয় অ্যাপগুলি।
যে অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ:
প্রো ক্যামেরা বিউটি: ঘাড় বেঁকিয়ে, পাউট করে সেলফি তুললেন, অথচ ছবিটা ঠিক মনের মতো হল না। সেক্ষেত্রে এই অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকে। এ অ্যাপ ব্যবহার করে মুছে দেওয়া যায় ডাবল চিন। ছবির ওপর নানা ধরনের স্টিকারও লাগানো যায়।
কার্টুন আর্ট ফটো: নিজের কার্টুন ক্যারিকেচার পাওয়ার লোভেই মোবাইলে কার্টুন আর্ট ফটো অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন অনেকে। অ্যাপ থেকে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলি শেয়ারও করা যায় চটজলদি।
ইমোজি ক্যামেরা: কম কথায় মনের কথা বোঝাতে ইমোজির যাত্রা শুরু। এই অ্যাপ তাতে অন্য মাত্রা যোগ করে। ছবি তোলার পর তাতে পছন্দমতো ইমোজি বসিয়ে দেওয়া যায়। গ্রপ ফটোতেও একসঙ্গে একাধিক ইমোজি বসানো যায়।
সেলফি তোলার জন্য সেলফি ক্যামেরা প্রো অ্যাপও গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। সেটিকেও বাদ দিয়েছে গুগল। বাদ দেওয়া হয়েছে আর্ট এডিটর, বিউটি ক্যামেরা, হরাইজন বিউটি ক্যামেরা, সুপার ক্যামেরা, অসম কার্টুন আর্ট অ্যাপও।
তথ্য ও ছবি চুরির তালিকায় রয়েছে আর্ট ফিল্টার ফটো, কার্টুন এফেক্ট, ফটো এডিটর, ওয়ালপেপার্স এইচ ডি, ম্যাজিক আর্ট ফিল্টার ফটো এডিটর, আর্ট ফিল্টার এবং প্রিজমা ফটো এফেক্ট অ্যাপও। অ্যাপলের প্রিজমার অনুকরণে প্রিজমা ফটো এফেক্ট অ্যাপ আনা হয়েছিল।
প্লে-স্টোর থেকে ওই ২৯টি ক্ষতিকর অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছে গুগল। তবে কারও ফোনে যদি অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকে সে ক্ষেত্রে গুগলের কিছু করার নেই। গ্রাহককেই তা আনইনস্টল করতে হবে।