প্রাণঘাতী করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে একদিনের বিস্ময়কর সাফল্যের দাবি করেছে পুলিশ হাসপাতাল।
সোমবার (১৮ মে) হাসপাতালের পক্ষ থকে জানানো হয়, থেরাপি দেয়ার পর রোগীদের অক্সিজেন নেয়ার ক্ষমতা বেড়েছে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। আরো বড়ো আকারে প্লাজমা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাদের প্রত্যেকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। অর্থাৎ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। করোনাজয়ী ব্যক্তির দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি যদি করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা। রক্তে প্লাজমা থাকে ৫৫ ভাগ। করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি থাকে রক্তের প্লাজমায়। সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা করোনায় সংক্রমিত অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয় বলে এই চিকিৎসাপদ্ধতির নাম হয়েছে ‘প্লাজমা থেরাপি’।