তিমির বনিক, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিকসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে গনধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত প্রধান আসামী প্রেমিকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। গেল শনিবার ২০ মার্চ রাত ১১টায় উপজেলার দেওড়াছড়া চা-বাগান ও প্রেমনগর চা বাগানে এ ঘটনাটি ঘটে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস এর নির্দেশনায় শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে এএসআই হামিদ, আনিছ ও সঙ্গীয়ফোর্সসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে প্রেমিকসহ ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগানের জব্বার মিয়া প্রকাশ খালিকের ছেলে জুবেল মিয়া (২২), একই এলাকার মায়া রঞ্জিত রিকমনের ছেলে বকুল রিকমন (২০) ও অমূল্য রিকমনের ছেলে শিপন রিকমন (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার পতনঊষার ইউনিয়নের শ্রীসুর্য্য হালাবাদী গ্রামের কিশোরী (১৬) তার প্রেমিকের সঙ্গে শমশেরনগর বাজারে দেখা করতে গেলে জোরপূর্বকভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে প্রথমে দেওড়াছড়া চা-বাগানে শিপন রিকমনের বাসায় নিয়ে কিশোরীর প্রেমিকসহ তার বন্ধুরা মিলে পালাক্রমে গনধর্ষণ করে এবং পরে সেখান থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে করে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রেমনগর চা-বাগান এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে আবারও পালাক্রমে গনধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে কিশোরিকে উপজেলার মুন্সীবাজার ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা কিশোরী পরিবারকে খবর দিলে সেখান থেকে উদ্বার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী কিশোরীর বাবা নেছার মিয়া জানান, আমাদের পরিবারের অজান্তে আমার মেয়েটা বাড়ি থেকে ডেকে এনে শমশেরনগর এলাকা থেকে সিএনজি করে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ৬ মিলে ধর্ষন করা হয়। আমি এর জন্য সুষ্ট বিচার দাবী করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, ওই কিশোরীর সঙ্গে দেওড়াছড়া চা-বাগান এলাকার এক যুবকের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে
মঙ্গলবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন কিশোরীর বাবা (কমলগঞ্জ থানার মামলা নং ১৫, তারিখ ২৩ মার্চ ২০২১)। আটক ৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বুধবার সকালে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, এ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কমলগঞ্জ থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটক করার চেষ্টা চলছে। ধর্ষিতা কিশোরী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।