কতিপয় স্বল্পমেয়াদী চ্যালেঞ্জ থাকলেও বাংলাদেশসহ এশিয়া জুড়ে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে প্রবৃদ্ধি হবে।
মঙ্গলবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ২০১৯’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এআইআইবি বাংলাদেশকে একটি গুরূত্বপূর্ণবাজার হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে যাবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আগামী ১২ মাসে প্রতিযোগিতামূলক দেশীয় অর্থায়ন পরিবেশের কারণে অবকাঠামোগত ঋণ ব্যয় হ্রাস পাবে। একইসাথে দীর্ঘমেয়াদী ঋণগ্রহীতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঋণ প্রদানের হার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে এআইআইবি’র পলিসি অ্যান্ড স্ট্রাটেজি ভাইস প্রেসিডেন্ট জোয়াচিম ভন আমসবার্গ বলেন,‘বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ এবং বিদ্যমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারায় অবকাঠামো খাতের ঘাটতি মোকাবিলার এখনই সুযোগ।’
তিনি আরো বলেন,‘আমরা আর্থিকভাবে ফলপ্রসু অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
এআইআইবি বর্তমানে পরিবহন, জ্বালানী এবং পানি উন্নয়ন খাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পর্যলোচনা করছে। এ প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ময়মনসিংহ কেওয়াটখালি ব্রীজ প্রকল্প এবং সিলেট-তামাবিল সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এআইআইবি পরিচালনা পর্যদ এখন পর্যন্ত জ্বালানি খাতের তিনটি প্রকল্পের জন্য ২৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে।
এআইআইবি এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জ্যাং পিং থিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেসরকারি খাত বিনিয়োগে ত্বরান্বিত হবে।’
এআইআইবি একটি বহুমুখী উন্নয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় বেইজিংয়ে অবস্থিত। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যাংকটির বিশ্বব্যাপী বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯৩।