সারাবিশ্বে চলমান মহামারি করনার বিরূপ প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মহীন হয়ে দেশে ফিরছেন।
এদিকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে সর্বমোট দুই লাখ নয় হাজার ২৪৫ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৮৬ হাজার ৩০৯ জন ও নারী ২২ হাজার ৯৩৬ জন।
প্রবাস ফেরত শ্রমিকদের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা কর্মীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ৫৩ শতাংশ কর্মীই এ দু’টি দেশ থেকে এসেছেন। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
১ এপ্রিল থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীকর্মীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫২ হাজার ৫৬৫ জন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত এসেছেন (পুরুষ ৪৮ হাজার ৬৭৮ জন জন ও নারী তিন হাজার ৮৮৭ জন)।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ না থাকায় তারা এ দু’টি দেশ এসব কর্মীদেরফেরত পাঠিয়েছে। এসব কর্মীদের অনেকে বলেছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের আবার কাজে ফেরত যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেরত আসা কর্মীদের মধ্যে অপর ৯টি দেশ থেকে কাজ না থাকায় ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছেন ৫৪ হাজার ৪২৪ জন। এদের মধ্যে কাতার থেকে সর্বাধিক সংখ্যক ২১ হাজার ২৫৭ জন, মালয়েশিয়া থেকে নয় হাজার ৯৫২ জন,লেবানন থেকে ছয় হাজার ৫০৬ জন, ইরাক থেকে আট হাজার ২৮২ জন, তুরস্ক থেকে ১২২ জন,থাইল্যান্ড থেকে ৮৯ জন, মিয়ানমার থেকে ৩৯ জন, কম্বোডিয়া থেকে ১০৬ জন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৭১ জন ফেরত এসেছেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায়, দেশে ফেরত আসা কর্মীদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট ধারী ফিরেছেন এক লাখ ৭৫ হাজার ৮১০ জন এবং আউটপাসের মাধ্যমে ৩৩ হাজার ৪৩৫ জন এসেছেন।
অন্যদিকে, তাদের মধ্যে কেউ করোনার কারণে কাজ না থাকায় বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া আবার কেউ ভিসার মেয়াদ না থাকায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফেরত এসেছেন।
এছাড়া অনেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে শুণ্যহাতে দেশে ফিরেছেন।