প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রার্দূভাবের মধ্যেও রেকর্ড সংখ্যক রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে চলতি মে মাসের প্রথম ৩ সপ্তাহে ১১২ কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৫২০ কোটি টাকা।
গত এপ্রিলে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এমন ঊর্ধ্বগতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, গত মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। পরের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে।
তবে মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে পর্যন্ত আসে ৮০ কোটি ডলার। ২১ মে পর্যন্ত ১১২ কোটি ১০ লাখ ডলারে পৌঁছে যায়। যদিও মহামারির প্রভাব শুরুর আগে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশের বেশি ছিল।
করোনার প্রভাবে বিশ্ব যখন সংকটে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়বে এমনটাই আশঙ্কা করেছিল অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি রেমিট্যান্সে। গত বছরও রোজার ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল।