ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মাই নেম ইজ বন্ড’, ‘জেমস বন্ড’ আর বলবেন না শন কনারি। শনিবার ৩১ অক্টোবর ঘুমের মধ্যেই চির ঘুমের দেশে চলে গেলেন প্রথম ‘জেমস বন্ড’। নব্বই বছরেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রবীণ স্কটিশ অভিনেতা শন কনারি।
সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাছে ‘জেমস বন্ড’ অভিনেতা হিসেবেই সমধিক পরিচিত যিনি। ‘জেমস বন্ড’ স্পাই থ্রিলারের সাতটি ছবিতে অভিনয় করে দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন কনারি। অথচ বিদায় বেলায় নায়কোচিত প্রস্থান ঘটল না তাঁর। জীবন থেকে নিঃশব্দে বিদায় নিলেন ‘মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড’ সংলাপকে চিরকালীন করে দেওয়া প্রবীণ অভিনেতা।
শন কনারির পরিবার জানায়, বেশ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন স্কটিশ এই অভিনেতা। মৃত্যুকালে বাহামা দীপপুঞ্জে ছিলেন শন। সেখানে মারা যান তিনি।
১৯৬২ সালে ব্রিটিশ সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের গড়া চরিত্র জেমস বন্ডের ভূমিকায় ‘ডক্টর নো’ ছবির মাধ্যমে ‘জেমস বন্ড’ স্পাই থ্রিলারে অভিনয় শুরু কনারির।
তার পরে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত আরও ছয়টি স্পাই থ্রিলারে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’, ‘ডায়মন্ডস আর ফরেভার’, ‘নেভার সে নেভার এগেইন’ অন্যতম। তাঁর মধ্যে ‘’কণ্ঠ নিঃসৃত সংলাপ ‘মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড’ এখনও সিনেমা প্রেমীদের মনে গেঁথে রয়েছে। একের পর এক ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় ‘জেমস বন্ড’কে জীবন্ত করে তুলেছিল।
১৯৮৭ সালে কনারির জীবনে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। স্কটিশ পরিচালক ব্রায়ান ডি পালামা’র ‘দ্য আনটাচেবলস’ ছবিতে একজন কঠোর আইরিশ পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে ‘অস্কার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
২০০০ সালে অভিনয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ব্রিটিশ সরকার কনারিকে ‘নাইটহুড’ উপাধিতে ভূষিত করে। জেমস বন্ড অভিনেতা অনুরাগীদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘স্যর শন কনারি’ হিসেবে।
গত শতকের ছয়ের দশকে রূপালি পর্দার বন্ডের চরিত্র এক সময় তার ক্যারিয়ারে তুমুল সাফল্য এনে দিয়েছিল। ১৯৬২ থেকে ’৮৩ পর্যন্ত একের পর এক ৭টি বন্ড-ফিল্মে দেখা গিয়েছিল শন কনারিকে। সে সময়কার ফ্যানেদের বিচারে সেরা ‘০০৭’ তিনিই।
জনপ্রিয় জেমস বন্ড কে? সেটা জানার জন্য একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন শন কনারি। সেই সমীক্ষায় ৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন টিমথি ডাল্টন। ২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন পিয়র্স ব্রেন্সন। ‘শন কনারি’ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি পেয়েছেন দুটি বাফটা, ৩টি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড।