সাইটসেভার্স, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং সেন্স ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা বিষয়ক একটি কনসোর্টিয়াম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গতকাল বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
প্রকল্পটি যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে প্রতিবন্ধিতামূলক উন্নয়ন কর্মসূচির টাস্ক অর্ডার ৪৫-এর অধীনে বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এডিডি ইন্টারন্যাশনাল, সেন্টার ফর ডিসেবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, সেন্স ইন্টারন্যাশনাল এবং সাইটসেভার্স যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী এম আব্দুস সালাম।
প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা-প্রকল্পের লক্ষ্য প্রতিবন্ধী শিশুদের ভর্তি করা, তাদের ঝরে পড়া রোধ করা এবং শিশুরা বিদ্যালয়ে এমনভাবে শিখবে যেন তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে এবং অপ্রতিবন্ধী শিশুদের মতো সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রকল্পটি স্কুলের প্রতিবন্ধীতাবিষয়ক অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, রেফারেল পদ্ধতির উন্নতি এবং বাসাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে কাজ করবে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং আরও ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতার আরও বেশি প্রয়োজন।
স্বাগত বক্তব্যে সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০-এর মার্চ থেকে ২০২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি অনেক শিশুকে অরক্ষিত করে তুলেছে-বিশেষ করে যারা প্রতিবন্ধী শিশু- কারণ তাদের অনেকেই শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইটসেভার্স-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দা আসমা রাশিদা। প্রকল্পটি বাংলাদেশের দুটি জেলার তিনটি উপজেলার ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ করবে। নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর উপজেলা, সিরাজগঞ্জ জেলার অধীনে সিরাজগঞ্জ সদর এবং তাড়াশ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এছাড়াও প্রকল্পটি প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিবার এবং ৫৩৩ জন প্রতিবন্ধী শিশুকে স্কুলে যেতে এবং মানসম্মত শেখার সুযোগ তৈরি করবে।
সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এস.এম. জাহিদুল হাসান, এডিডি ইন্টারন্যাশনালের হেড অব প্রোগ্রাম গোলাম ফারুক হামিম, সেন্টার ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন সেলের কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার প্রসার এবং সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন